২১ আগস্ট ২০১২

‘আক্ষরিক’ শিল্প ও সাহিত্য ব্লগজিন সম্পাদক এবং সম্পাদনা উপদেষ্টা


সম্পাদনা উপদেষ্টাঃ
------------------
মেরুন হরিয়াল

তন্ময় শুভ

জুয়েল দেব

শাত শামীম

জাহির মুনমুন

আবদুল্লাহ আল মামুন

 সম্পাদকঃ
-----------
নৈরিৎ ইমু


নির্বাহী সম্পাদকঃ
------------------
মুঃ আবদুল্লাহ আল ফয়সাল
তমিজ তমোহর

সম্পাদনা সহযোগীঃ
-----------------
নাজমুল হাসান

প্রচ্ছদঃ
----------------------
মো. মঈনউদ্দিন চৌধুরী

বর্ণবিন্যাসঃ
---------
মোঃ নজরুল ইসলাম

অলংকরণঃ
---------
জনী চৌধুরী ..
 

1 টি মন্তব্য:

  1. আমার লেখা "মাটি গেল কোথায় ?" কবিতাটি আক্ষরিক ব্লগ এ প্রকাশ করার সময় ত্রুটি থেকে গেছে। প্রথম তিন লাইনের পরে অহেতুক গ্যাপ পড়ে যাওয়ায় একটি অনুচ্ছেদ ভেঙ্গে দুইটি অনুচ্ছেদের সৃষ্টি হয়েছে। ১২ টি লাইন নিয়ে এক একটি অনুচ্ছেদ এবং মোট অনুচ্ছেদ সংখ্যা হবে ৫টি। কবিতা টি হবে এইরকম:


    মাটি গেলো কোথায় ?

    তেঁতুলিয়া-র 'ভুবন জানা',দিলেন মেয়ের বিয়ে,
    রাঢ় বাংলার দুর্গম এক নদী-বিহীন গাঁ-য়ে।
    জামাই যে তার 'মদন কোলে',গ্রাম্য চাষীর ছেলে,
    'লেখাপড়া' শেখেনি সে,যায় নি কো ইস্কুলে।
    জমি আছে কয়েক বিঘা,করে ধানের চাষ,
    বাড়ীর পাশে মুদির দোকান চালায় বার মাস।
    চাষের জমি,মুদিখানা,আয় যে বড় জবর,
    গ্রামঞ্চলে এমন ছেলের মূর্খ হ'লেও কদর।
    'ভুবন জানা'-র মেয়ে 'চাঁপা',সে ও নিরক্ষর,
    যোটক বিচার অনুসারে সমান 'পালটি ঘর'।
    অজ্ঞানী রা দেখাতে চায়,তারা-ই বড় জ্ঞানী,
    মূর্খ মদন চাল চলনে অনেক টা তেমন-ই।

    বিয়ের পরে মেয়ে,জামাই এসেছে তার ঘরে,
    'ভুবন জানা' বড়ই খুশী,আনন্দে প্রাণ ভরে।
    সব শ্বশুর-ই কোন কালে,ছিলেন কারো জামাই,
    নিজের অভিজ্ঞতায় জানা,কেমন টা ঠিক চাই!
    খাওয়া-দাওয়া,শোয়া-বসায় ত্রুটি হ'লে পরে,
    রাগ গিয়ে সব পড়বে যে তার মেয়ের-ই উপরে।
    সেই ভয়ে-তে দেদার খরচ করেন 'ভুবন জানা',
    জামাই মদন ভাব যে দেখায়,'এ সব উচিত মানা'।
    এক সকালে ভুবন বলেন জামাই মদনেরে,
    ''চলো না হয় ঘুরে আসি একটু নদীর ধারে।"
    নদীর ধারে গিয়ে মদন অবাক চোখে ভাবে,
    'কিছু যদি না ব'লি তো খারাপ-ই দেখাবে'।

    মদন বলে,"দেখছি এ যে বিরাট বড় পুকুর,
    খুঁড়তে বোধ হয় টাকা এবং লোক লেগেছে প্রচুর।
    এত বড় পুকুর কাটায় উঠল মাটি যত,
    থাকলে জমা,পুকুর পাড়ে মাটির পাহাড় হ'তো।
    কিন্তু দেখুন,ব্যাপার টা কি? ঢুকছে না তো মাথায়,
    পুকুর আছে,তবে মাটি গায়েব হ'লো কোথায়?
    জল ও দেখি পুকুর বেয়ে যাচ্ছে কোথায় চলে,
    মাছগুলো তো মরেই যাবে,জল বেরিয়ে গেলে।
    জল গুলোই বা যাচ্ছে কোথায়,বাবা,বলুন দেখি?
    মাটির নীচে বিরাট কোন গর্ত আছে না কি?
    মাইল কয়েক লম্বা পুকুর দেখি নি তো গাঁ-য়,
    এই পুকুরের মালিক যে জন,কতই না তার আয়।"

    মূর্খ জামাই নদী বুঝি দেখেনি এর আগে,
    বুঝতে পেরে 'ভুবন জানা' বলেন মনের রাগে-
    "তোমার মত বোকা পাঁঠার জন্মদাতা যারা,
    আধেক মাটি আগে ভাগেই খেয়েছিলেন তারা।
    বাকি মাটির আধা প্রমাণ খেয়েছি যে আমি,
    নইলে কি আর আমার ঘরে জামাই হ'তে তুমি?
    শেষ সিকি ভাগ কপাল দোষে খাচ্ছে আমার মেয়ে,
    তোমার মত গুণধরের গলায় মালা দিয়ে।
    এর পরেতেও মাটি যদি থাকে কিছু পড়ে,
    যত্ন ক'রে নিয়ে গিয়ে,রাখো তোমার ঘরে।
    কপালক্রমে তোমার ঘরে জন্ম যাদের হবে,
    লেখাপড়া না শেখালে,ওই মাটি খাওয়াবে।"

    দেখা,শোনা,চেনা,জানার শেষ তো কোথাও নাই,
    নিত্য নতুন জানতে হ'লে 'লেখাপড়া' চাই।
    চোখে দেখার অভিজ্ঞতায় আর ও বাড়ে জ্ঞান,
    পুকুর,নদীর ফারাক কোথায়,হয় তা অনুমান।
    মূর্খ মদন জন্মেছিল নদী বিহীন গাঁ-য়ে,
    পুকুর কাটা দেখেছিল,সেথায় লোকালয়ে।
    নদী চোখে দেখেনি সে,নাই তো 'লেখাপড়া',
    জ্ঞান অভাবে নদীকে তাই পুকুর মনে করা।
    মদন যেমন মূর্খ,তেমন অগুনতি এই দেশে,
    এক মূর্খের দশা দেখে,অপর মূর্খ হাসে।
    অল্প-বেশী মূর্খ সবাই,কোন না এক স্থানে,
    নয় তো কি আর জ্ঞানীর বিচার করে গো অজ্ঞানে?

    অনুগ্রহ কে সংশোধন করে দেবেন।
    সমর কুমার সরকার /শিলিগুড়ি

    উত্তরমুছুন