৩১ অক্টোবর ২০১২

সরদার ফারুক

তোমার তো বয়স হয়েছে

তোমার তো বয়স হয়েছে
পেয়েছো এখনো রত্ন ভান্ডারের চাবি ?
কোষবদ্ধ তরবারি কেঁপে কেঁপে ওঠে
অনেক ছোবল দাঁতে শুয়ে থাকে বিষধর সাপ

কতোবার নীবিবন্ধ খুলে খুলে গেছে
দায়ূদ মানেনি কোন বৎশেবার বাঁধা
এখনো শিকারী তুমি , রক্তে সেই বাঁধভাঙা নাচ

অন্ত:ক্ষরা গ্রন্থি থেকে ফোঁটা ফোঁটা ঝরে
ক্ষমাহীন নি:শব্দ গরল

মেসবাহ মিঠু

স্বপ্নের বুকে দগদগে ঘা
 
স্বপ্নের বুকে দগদগে কঠিন ঘা
ক্লান্ত বাতাস নরম রোদে, আচ্ছন্ন সমৃতির গাঁ
স্মৃতির ঘর আজ মুক্ত জানালা
চাঁদের ছায়ায় সূর্যের তেজ, আমি উতলা
 
মনের আয়নায় নতুন বিশ্ব,মেঘের পর মেঘ,
ভালবাসা ফেরারী, তোমার তরে ঝরে সবুজ আবেগ
বৃষ্টি চাই, বৃষ্টি চাই, আমি আকাশ মুখী চাতক
সমুদ্র নিমগ্ন মন, বাড়াচ্ছে মনের অসুখ ।।
 
স্বপ্নহীন বেঁচে থাকা অর্থহীন বিশ্ব
তবুও আধেক আলো আধেক আধারে
হৃদয়ের দাবী মেনে
হতে চাই নিঃস্ব

সমর কুমার সরকার


প্রেমের আগমনী

শুনছ সুমি ? কাছে এসো,জানলা টা দাও খুলে,
তাকিয়ে দেখো,গাছ্টা কেমন সাদা ফুলে ফুলে
শিউলি ফুলের মৃদু সুবাস হাওয়ায় মাখামাখি,
পাশে বসো,আজকে আবার নতুন করে দেখি
এমন ই এক শরৎ কালের দিন কি মনে পড়ে?
ফুল তুলতে বেরিয়ে ছিলে,শিশির মাখা ভোরে!
তখন তুমি রাইকিশোরী,মাথায় বাঁধো বেণী
কাছাকাছিই বাড়ী তোমার,নাম 'সুমি' তা জানি
জানা ছিল,ফুল কুড়ানী আসবে ভোরের বেলা,
গাছের তলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম,হাতে নিয়ে ডালা
ভোরের আলোয় ভ্রমর কালো তোমার চোখের তারা,
হানলে যখন আমার পানে হলাম দিশাহারা
অজানা এক আকর্ষণে রোমাঞ্চিত হয়ে,
ভেবেছিলাম,"পেতাম যদি সুন্দরী এই মেয়ে।"
এক সাথেতে ফুল কুড়ানো,ভাল লাগার ঘোরে,
এমনই এক শিউলি ফোটা শরৎ কালের ভোরে

তার পরেতে পাড়ার পূজোয়,মহাষ্টমীর দিনে,
লাল পেড়ে এক হলুদ শাড়ী,মন যে দেখি টানে
সোনার বরণ হলুদ পাখী,কোথায় ছিলে দূরে,
উড়ে এসে বসলে আমার পাশের ই চেয়ারে
শুরু হলো,আড় চোখেতে তাকিয়ে দেখার খেলা,
যাচ্ছ কোথায় ? এখন ও যে লজ্জা তোমার মেলা!
চোখে চোখে নীরব কথা,মনের কানাকানি,
শূন্য পথে ভাব বিনিময়,প্রেমের আগমনী
পুরোহিতে বলল হেঁকে,"অঞ্জলি দাও সবে",
তোমার পিছেই দাঁড়িয়ে গেলাম,ফুল হাতে নীরবে
অঞ্জলি তো আর কিছু নয়,আকুল আবেদন,
রূপ,জয়,যশ দিয়ো মা,দিয়ো পুত্র,ধন
আমি কি চাই বুঝতে পারি,মায়েরে জানাই,
"
হলুদ শাড়ীর রাইকিশোরী চাই মা,আমার চাই।"
মন্ত্র শেষে ফুল ছুঁড়ে দেয়,সবাই দেবীর পায়,
আমার ছোঁড়া ফুল পড়ে যে তোমার ই মাথায়

আহা ! আবার পালাচ্ছ যে,লজ্জা কিসের এত ?
তোমার কথা পড়ছে মনে,স্পষ্ট ছবির মত
দিনে ছিল হলুদ শাড়ী,রাত্রে নীলাম্বরী,
নিয়ন আলোর রঙীন ছটায় কিশোরী নীল পরী
পাগল হলাম মনে-প্রাণে,পেতেই হবে একে,
কইতে হবে মনের কথা,কপালে যা থাকে!
চেনা-জানা,পাড়ার মেয়ে,আছে পরিচয়,
'
ভালবাসি' বলতে তবে কিসের এত ভয়?
কাছে গিয়ে বলি - "দেখো,ঠাকুর টা কি ভালো !"
লক্ষ্য করি,তোমার চোখে যেন খুশীর আলো
বললে তুমি - "ঠাকুর ভালো,তাই তো বসে আছি,
আপনি কেন বন্ধু ছেড়ে আমার কাছাকাছ ?"
চমকে বলি - "ভাবছ যে সব,সে সব কিছু নয়,
পূজার দিনে দেখা হলে,বলতে কিছু হয়।"
বললে হেসে - "পাড়ার মেয়ে অনেক গুলোই আছে,
যান না,গিয়ে গল্প করুন,বসে ওদের কাছে।"

এত ফাজিল মেয়ে তুমি,তখন কি আর জানি ?
লজ্জা তে গাল হলো যে লাল,বুকেতে কাঁপুনি
থতমত খেয়ে বলি - ওরা তো আছেই.....
তার পরে আর বলব কি যে হারিয়ে ফেলি খেই
বললে তুমি - "আপনি দেখি,এক্কেবারে বোকা,
সকাল থেকে দেখছি শুধু,বসে আছেন একা
পূজার দিনে ছেলেগুলোর স্ফুর্তি দেখুন মনে,
কেউ কি এমন বসে আছে,বকের মত ধ্যানে ?
বাজি পোড়ান,ঘুরে বেড়ান প্যাণ্ডেলে-প্যাণ্ডেলে,
বেড়িয়ে আসুন সঙ্গে নিয়ে বান্ধবী কেউ পেলে
পূজা তো আর রোজ আসে না,সারা বছর ফাঁকা,
চালাক যারা ঘুরে বেড়ায়,বসে থাকে ন্যাকা।"
জানো ? তখন অপমানে জ্বলছিল এ বুক,
নীলাম্বরী,তুমি আমায় দিলে এমন দুঃখ ?
শুকনো মুখে তক্ষুনি যে ফিরে গেলাম বাড়ী,
আমি ন্যাকা,আমি বোকা,ঠিক ই তো সুন্দরী

খুব যে দেখি হাসছ হি হি,যেতাম যদি মরে,
তবে কি আর পেতে তুমি,আমায় আপন ক'রে ?
যা বলছিলাম,নবমী তে লাগছিল না যে ভালো,
বসে ছিলাম এক কোণে-তে,অল্প যেথায় আলো
রাত পোহালেই দশমী তে মা নেবে বিদায়,
ঢাকের আওয়াজ,আরতি নাচ,সামনে যাওয়াই দায়
হাসনুহানার সুবাস পেলাম,হঠাৎ অচেতনে,
আবছা কোন মূর্তি যেন আমারই পিছনে
বললে তুমি- "আলোয় চলুন,পূজো টা কি ভালো !
অন্ধকারে কেন বসে,মুখ টা ক'রে কালো ?
ফুচকা খাবেন ? চলুন না ছাই,ওই দিকেতে যাই,
সারা টা দিন খুঁজে দেখি,আপনি কোথা ও নাই
মনে হলো,লোকটা যে ঠিক চালাক তো নয় তত,
কি বলেছি,রাগ করেছে সত্যি বোকার মত!
পূজোর দিনে কারো মনে দুঃখ দিতে নাই,
হাতটা বাড়ান,এইটা রাখুন,আমি এখন যাই।"

পাজী মেয়ে,ধরিয়েছিলে প্রথম প্রেমের চিঠি,
তর সয় না,আলোয় গিয়ে আলগা করি মুঠি
গোটা গোটা অক্ষরেতে লিখেছিলে তুমি -
"
সমর দাদা,তোমায় বড় ভালবাসি আমি
লেখা-পড়ায় সেরা তুমি,মনে ও তুমি সেরা,
বোকা বলেই ভালবেসে দিলাম তোমায় ধরা
রাগ ক'রো না লক্ষ্মী আমার,করে দিয়ো ক্ষমা,
থাকলে রাজী,কালকে প'রো হলুদ রঙের জামা।"
সেই ধরালে হলুদ জামা,এখন ও ভুলি নি,
শরৎ এলেই হলুদ জামা আগেই কিনে আনি
মন টা আজ ও একই আছে,একই তারে বাঁধা,
কালের স্রোতে সুরর্টা কেবল হয় না সঠিক সাধা
আজ ও আমি স্বপ্ন দেখি,'রে হলুদ শাড়ী,
সামনে তুমি দাঁড়িয়ে আছ,অষ্টাদশী নারী
যা চলে যায়,আর কোন দিন,ফেরে না তা জানি,
শরৎ এলেই মনে জাগে প্রেমের আগমনী

ডা.সুরাইয়া হেলেন

আজ আমার বিবাহ-বার্ষিকী

এইতো এমনি এক দিনে

গায়ে
জড়িয়েছিলাম বেনারসী আগুন শাড়ি

হাতে দাসত্বের চুড়ি,পায়ে নূপুর শৃঙ্খল বেড়ী

গলায় সোনার হার নয় ফাঁসির দড়ি

এসেছিলো ফুল নয় কাঁটার গাড়ি

আপন স্বাধীন নিবাস ছাড়ি

দাসী হয়ে এসেছিলাম পরের বাড়ি

সারাজীবনের তরে মাথায় বাড়ি

কন্যা থেকে জায়া,আমরা যে পরাধীন নারী !

সত্যি বলতে কি,আজ আমারও বিবাহ বার্ষিকী!যে মানুষটির সাথে ৩৫টি বছর সুখে দুখে কাটিয়ে দিয়েছি ,এই দিনটিতে তিনি যেখানেই থাকুন চলে এসেছেন ,একসাথে কেটেছে দিনটি!আজ এই প্রথম তিনি দেশের বাইরে!সকালে ফোন করে বললেন,‘আজ কত তারিখ,মনে আছে তো?’বললাম,‘হ্যাঁ আছে!’বললেন,‘কী কী করছো আজ?’



কিছুই না!’


কেন কেন?কাউকে ডাকোনি?বন্ধুবান্ধব,আত্মীয়-স্বজন?’

বলি,‘কখনও কি আমি কিছু করেছি?আমি কি পারি এগুলো?আর তুমিই নেই এখানে,কী হবে এসব করে?’

কথা সত্যি,এই দিনটির সমস্ত প্ল্যান,প্রোগ্রাম,পোশাক ,এমনকি খাবার মেন্যূ পর্যন্‌ত এতোগুলো বছর তার করা!আমি তাকে ছাড়া আজ অনুষ্ঠান করবো,খাবো দাবো,ঘুরবো?!ভাবতেই পারিনা!নাহ,আজ একটি সাদামাটা দিন যাবে আমার!আল্লাহর কাছে সবসময় প্রার্থনা করি,আমাকে যেন পৃথিবী থেকে তার আগে তুলে নেন

তাকে ছাড়া আমার জগৎ সংসার যে অন্ধকার!তাকে ছাড়া বেঁচে থাকার কথা চিন্তাই করতে পারিনা!আল্লাহ যেন অন্তত এই কষ্টটার মুখোমুখি আমাকে না করেন!ভাবি,একজনের ওপর অতটা নির্ভরশীলতা বোধহয় ঠিক না!

রোখশানা রফিক

প্রবাসীর কলাম

কুচি কুচি বরফঝ্রারা কনকনে ঠান্ডার দিন শেষশুরু হয়েছে বসন্তের আগমনে গাছে গাছে নতুন কিশলয় আর ফুলদলের সমারোহদক্ষিন মেরুর নিকটবর্তী দেশ নিউজিল্যান্ডের প্রকৃতিতে সবুজের সমারোহ চোখ জুড়িয়ে দেয়ছবির মতো ছিমছাম নিপাট ঘরবাড়ি আর পরিচ্ছন্ন পরিকল্পিত রাস্তাঘাটে ফুটেছে নানা বর্নের কতো নাম না জানা ফুলডুনেডিন শহরে আমার সদ্য কেনা বাড়িটির যে প্রান্তে বসে আমি লিখছি , তার ঠিক সামনেই প্রাকৃতিক লেকের জলে সাতার কাটছে ৮/১০ টি বিরল প্রজাতির ব্ল্যাক সো্যানআর সেই সাথে সী-গালের ঝাঁক দ্রুতগতিতে উড়ে এসে টুপটাপ জলের উপর পড়ছে আর ডুব দিতে দিতে গোসল সেরে নিচ্ছেঅন্যান্য জলচর পাখিও আছে তাদের সাথে, যাদের নাম আমার জানা নেই

দৃষ্টি আরো কিছুদূর প্রসারিত করলে দেখা যায় সবুজ পাহাড়ের বুকে হলুদ ফুলের বিস্তী্র্ন সমারোহআর, সবুজেরও যে কতো প্রকারভেদ হতে পারে তা এখানে না এলে বিশ্বাস করা যায় নাএমনকি এখানকার ঘাসফুল গুলোও বিচিত্র বর্নিলস্থানে স্থানে পাইন, ফার, বার্চ, বনঝাউয়ের সুউচ্চ শিখর ছাড়িয়ে দৃষ্টি প্রসারিত করলেই দেখা যায়, পাহাড়ের বুকে চড়ে বেড়াচ্ছে পোষা ভেড়ার দলকোথাও কোথাও ঘোড়ার আস্তাবলের পাশে ঘাসে মুখ ডুবিয়ে আহারে ব্যস্ত দু'চারটি ঘোড়া

এতো গেল প্রানীকুল আর প্রকৃ্তির কথাসেইসাথে এখানকার মানুষজনের সততার কথা না বললেই নয়আমার দখা ঘটনা, বাড়িভাড়া নেবে বলে সম্ভাব্য ভাড়াটিয়া গেছে বাড়ি দেখতেদোতলা বাড়ির নীচতলায় লন্ড্রী্রুমযেখানে খাড়াখাড়ি মই লাগানো সিড়ি বেয়ে নামতে হয়তো বাড়িওয়ালা নিজেই বলে দিচ্ছে," এই সিড়িটা কিন্তু খুব বিপদজনকআমি একবার পড়ে গিয়েছিলাম এখান থেকে।" অর্থাৎ ভাড়াটিয়ার কাছে সত্য লুকানোর কোনো প্রয়াস তার নেই

 আর একটি ঘটনা, পরিচিত একজন ইন্টারনেটে অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখে একটি কফি টেবিল ৩০০ ডলারে কিনবেন বলে গেছেন দোকানেদোকানী তাকে বললেন, " ৩০০ ডলারে শুধু একটি বড় টেবিলই নয়, সাথে দুইটি সাইড টেবিলও আপনি পাবেন।" অথচ আমাদের দেশে হলে এই দুইটি সাইড টেবিল আলাদা ভাবে বিক্রি করা হতো

 আমার আরও দেখা, একজনের পকেট থেকে দামী একটি মোবাইল সেট পড়ে গেছে বাসের ভিতরেভদ্রলো্ক খেয়াল করেননিবিকালে সেই নাম্বারে ভদ্রলো্ক ফোন করে খোঁজ নিলেন মো্বাইলটা ভুলে অফিসে ফেলে এসেছেন কিনাকেউ ধরলোনা ফোনপরদিন সকালে যে নাম্বার থেকে মো্বাইলের খোঁজ করা হয়েছে সেই নাম্বারে বাসের চালক ফোন করে জানালেন, মো্বাইলটি বাসের ভিতরে পাওয়া গেছে, ভদ্রলো্ক যেন নির্দিষ্ট একটি ঠিকানায় গিয়ে মোবাইলটি ফেরত নিয়ে আসেনসচরাচর এখানে একটি চাবির রিং ও যদি রাস্তাঘাটে পাওয়া যায় তবে তা নিকটস্থ পুলিশ ষ্টেশনে জমা দেয়া হয়

 ----------------এসব দেখে আমার মনে হয়েছে, এরা জাতি হিসাবে অত্যন্ত সৎ মানিসিকতারআর চুরি-ডাকাতি কিংবা অন্যান্য অপরাধের হারও আশ্চর্য্কমভাবে কম এখানে

 আরেকটি কথা, নিউজিল্যান্ডারদের আরেরক নাম "কিউয়ি"কিন্তু কিউয়ি পাখি এখানে খুব কম দেখা যায়শুনেছি পাখিটি নিশাচর এবং বিরলতবে বাজারে কিউয়ি ফলের সমারোহ চোখে পড়েএখানকার বাজারে সবুজ শাক সবজি অত্যন্ত মূল্যবানকাচা মরিচের কেজি কখনো কখনো ১০০ ডলারে পৌছেযা আমাদের দেশে হলে রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে যেতোএককেজি কমলা ২ ডলারে পাওয়া গেলেও টমেটোর দাম তারচেয়ে ৭/৮ গুন বেশীআর, এখানকার খাবার দাবার ভেজালমুক্ত, তাই নিশ্চিন্তে খাওয়া যায় সকলকিছুই

আত্মীয়-পরিজন , স্বদেশ ছেড়ে দক্ষিনমেরুর প্রান্তে এই দেশকে মনে হয় দ্বিতীয় মাতৃভূমিএখানে বর্ন -বৈষম্য ও খুব কমস্বদেশের বিয়োগব্যথা অনেকখানিই ভুলিয়ে দেয় এখানকার সুন্দর প্রকৃতি ও মানুষজনের সততা

 কিন্তু এখানে কর্মসংস্থান খুব কঠিনযারা এখানে বিদেশী হিসেবে আছেন তাদের বেশিরভাগই ছাত্র/ছাত্রীচাকরীক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডারদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হয়সুতরাং, যারা এদেশে আসতে চাইবেন তারা কর্মসংস্থানের খোঁজ খবর নিয়েই আসবেন আশাকরি