৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২

সিপাহী রেজা

ধ্রুব

কখনো ভাবিনি এমন করে, ঠিক এমন করে
তুমি আমি কোন এক জংশনে মিশে, আবার
কোন এক সবুজ আলোর ইশারায় হর্ন বাজিয়ে,
চিরস্থায়ী সমান্তরাল দূরত্বে, বয়ে যাব
অতীত পেড়িয়ে বর্তমানের স্টেশনে
ভাবিনি, রাতের অর্থহীন আলোর মাঝে
বলিষ্ঠ নিরবিচ্ছিন্ন একাকীত্বে
উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে জেগে থাকবো বহুদূরে,
অথচ অতি নিকট এক মহাশুন্যে
 
ভ্রমণের রুপকথা

আমাকে আবারও বলতে হলো দীর্ঘশ্বাস তুমি দীর্ঘজীবী হও !
তোর উষ্ণতায় বরফ কেটে যাক মৌন শহরে
শুনেছি-
ঘোরের স্টেশন থেকে একটা মেইল ট্রেন ছেড়ে যায় বহু রাতে...
আমি তার চলন্ত জানালায় মন রেখে, আবৃতি করবো বিগত সফর,
অন্ধকারে যতদূর আলো ফেলে যায় উৎসুক চোখ, তারও কম দূরে-
বয়ান হয়ে যাক, কিভাবে-
ডুব মেরে একটা জোনাকি, একটা ইচ্ছে, হয়ে যায় পরিপূর্ণ দীর্ঘশ্বাস !

মাত্রাবিহীন অক্ষর



এখানে পোড়া মাটির লাল দাগ ধুয়ে দেয় যাবতীয় ময়লা
মুখের ভিতর হতে অন্তরের চারপাশ
এখানে,
শুদ্ধতম সূর্যের প্রথম কিরণ হতেই তাদের যাত্রা শুরু
সকালে হেঁসেলের সোঁদা গন্ধও যেন তাদের অনুপ্রেরণা!

 
হ্যাঁ,আমি সবুজ কিংবা সরল অংকের মত জটিল কিছুকে নয়
সামান্য গ্রাম্য কিছু মাটির শিল্পকর্মের কথা বলছি
শরীর পর্যাপ্ত শুঁকনো কিন্তু ফেটে যাবার মত নয়, এমনকি-
গাত্রে বিদেশী রঙের আচ্ছাদন নেই তবুও দৃষ্টিনন্দন

তাদের হাত, খড়খড়ে চৈত্রের জমি হলেও সেখানে আছে মাটির মততা
আছে ছেলের স্পর্শ, মেয়ের আবদার জড়ানো আহ্লাদ
গামছায় মোড়ানো দুপুরের ভোজন রসিক যে কৃষাণ, তার অন্তরেও আছে
সামান্য রসিকতা, কিছুটা সস্তা ধরনের প্রেম
সে প্রেম মৃগনাভীর মতই ছড়ায় উর্বর নগরায়নের সুগন্ধি!

পরিচিত রাস্তা হয়ে প্রতিদিনের যাতায়াত কখনো রাখাল, কখনো কৃষক
কখনো গেঁদার বাপ, কখনো বাজান, কখনো তাসের পাকা জুয়াড়ি...
তার আপাদমস্তক জুড়ে যাত্রাপালার অদৃশ্য পোশাক, মেকআপ
তাকে সবসময় চুপ করিয়ে দেওয়া হয়, কারন তার রোল স্বল্পভাষী!
তাকে ক্ষুধার্থ থাকতে হয়, কারন যাত্রার দৃশ্যপট দুর্ভিক্ষের!
তার মুখে কিছুটা দুশ্চিন্তার আগ্রাসন, কারন সময়টা অনাবাদির!
গর্ভবোধ বলে কিছু থাকতে নেই, কারন তারা মাত্রই মাটির পুতুল!


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন