একটি আধপোড়া ডাহুক জীবন
এইসব ধুলোজমা আকাশের নিচেআমি এখনও দিনলিপি গুনে চলেছি,
প্রতিনিয়ত নিঃশ্বাসে জেগে থাকে
আধপোড়া এক ডাহুক জীবনের স্বাদ।
অমন সরীসৃপ চোখে কি দেখো বারবার ?
ক্ষিপ্রতায় যে প্রবল ভয় জমে,বোঝ না?
যদিও সুতো ছিঁড়েছিল অনেক আগেই।
তবু জানলেনা,কতটা জল গড়ালে
একফালি মেঘের অস্তিত্ব পুরোটা বিলীন হয়।
আমি এখনও মাঝে মাঝে বেঁচে উঠি,
আধারের ব্যস্ততম আনাগোনায় টের পাই
বাঁ চোখের দুঃস্বপ্নে গড়া ডান চোখের নিরবতা।
ঘরের সিলিংটা বেশ রঙিন,আস্কারা পাই
ওর সাথে সারারাত চলে দৃষ্টির সহবাস,
অবহেলিত অভিমানে জ্ঞান হারায়
জাগতিক দিনের মুমূর্ষু রণসঙ্গীত।
কি এক মাতাল খেলায় মেতে উঠি-ভীষণ খরস্রোতা;
ভয়হীন,রোদহীন,ভালবাসাহীন ।
ধীরে ধীরে ভুলে যাই আধপোড়া ডাহুক জীবন।
হঠাৎ এক তীক্ষ্ণ আওয়াজে কেঁপে ওঠে ঘর -
আলোকছটায় চিড় ধরে আধারের ত্বক,
ধড়ফড় চেতনায় উঠে বসি-হাঁটু মুড়ে
প্রাণপণে দুহাতে কান চেপে ধরি,ফুঁপিয়ে উঠি।
ক্ষণিক বাদে ধাতস্ত হৃদয় শুনে যায়-
দূরে কোথাও বেজে ওঠা চেনা হাসির আঘাত,
কে যেন ইশারায় বলে-
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে তার বেনারসি রাত।
তারপর দুচোখে বাড়ে ক্ষমাহীন রাত,
নীল নীল জলে ভাঙে নীলাভ প্রভাত ।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন