৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২

জহিরুল হক বাপি


চারপাশের অন্ধকারের গর্তে

সারি সারি ঝাড় বাতি জ্বলে আছে মাথার উপর

সারি সারি প্রিয়জন চারদিকে কোলাহলের জীবন

এখানে অবলীলায় চলে আসে আয়োজনের কবিতা

পাললিক সৌন্দর্যে ভরে থাকে সরব জানালা দরাজা

চৌকাঠের উপরও কোন কোন গান এসে দাড়ায়-

উৎসবে উৎসবে নিজেকে চুমু খাওয়ার আনন্দ!

আকাশের কাছের জানালায় দাড়াই কখনও কখনও

আকাশে জমে আছে আকাশ, কখনও আকাশ নিচেও!

একদিন দাড়িয়ে ছিলাম খোলা ছাদের তলায়

আকাশে কোন সূর্য নেই অথচ চাদ বা নক্ষত্রও না,

কোনখানে কি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সূর্য এক্কেবারেই

অথবা নক্ষত্রবিথী কি হয়েছে শোকেসের শো-পিছ?

অতঃপর একদিন একা বসেছিলাম ঝাড় বাতির তলে,

গাছেদের ছবি দেখতে গিয়ে জেনেছি গাছ আর নেই

পৃথিবী সমুদ্র ও বৃষ্টি শূণ্য বহুকাল আগে থেকেই

একুরিয়াম ভর্তি মাছ আর বারান্দায় জঙ্গল

নিজের সাথে হাত মেলাতে গিয়ে জেনেছি করুন সত্য

আমার হাত জানে না মোটেও আমার পরিচয়

আমার মাথা জানেনা তার ঐতিহ্য, যেন পরিচয়হীন

নিজের ভিতর হাত ঢুকিয়ে খুজে পাই নি নিজের আমি-

এখন আমি কেবল কোন অলংকার বা আসবাব

প্রয়োজনের ব্যাকরণে আমি বিকিয়ে দিয়েছি দুচোখ

মাথার উপর আলোকিত ঝাড় বাতি উৎসব অথচ

আমি বসে আছি চারপাশের অন্ধকারের গর্তে

ছেড়া রঙিন কাগজের টুকরো মত নিজেকে নিয়ে

খেলেছিল সমাজ ও স্বজন, মোহান্ধ হৃদয়ে জেনেছি

ঘরের ভিতর ঘুড়ে উড়ে , কেটে যায়, নতুন ঘুড়ি-

উৎসবের রাস্তায় পড়ে আছে আমার আমির টুকরো-

কেবল স্বজন স্বন খেলা, খেলা গৌরব ও প্রেমের

অগোচোরে পুড়ে গেছে সমুদ্রের নোনা জলও বহু আগে

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন