দ্রুত হাঁটি পথে
খুব
দ্রুত হাটি পথে
পেছন থেকে কেউবা এসে ছুঁয়ে ফেলে
যদিও কেউ নেই আমার পেছনে
আমিই তো প্রতিযোগী সর্বশেষ ।
শুরুর সংকেত শুনিনি তাতে কী এসে যায় ?
তোমরা কেউ কী আছো ?
যে, সংকেত না শোনার অযুহাতে
পার পেয়ে গেছ জীবনের প্রতিযোগীতা থেকে ?
পেছন থেকে কেউবা এসে ছুঁয়ে ফেলে
যদিও কেউ নেই আমার পেছনে
আমিই তো প্রতিযোগী সর্বশেষ ।
শুরুর সংকেত শুনিনি তাতে কী এসে যায় ?
তোমরা কেউ কী আছো ?
যে, সংকেত না শোনার অযুহাতে
পার পেয়ে গেছ জীবনের প্রতিযোগীতা থেকে ?
অতিক্রম্য দূরত্ব সবার একই
ফারাক শুধু গতিপথের –
কারো পথ কালো পিঁচের
কারো বা মখমল আর সোনালী জরীর ।
সময়ের যে অভিযোগ, তা না চাইলেও
মেনে নাও না মুখ বুজে !
কর্তৃপক্ষ তো সবই দেখছে,
সময় হলে ডেকে নেবে ।
ঠিক কতটা পথ হেঁটে আজ আমি কবি ?
তোমরা কেউ কী জানতে চেয়েছ কখনও ?
তোমরা কারা ? কী ? কী তোমাদের কাজ ?
শুধু বানান করা যা শিখেছ
তাই একটু ঝালিয়ে নেবে । এইতো ?
বিশ্বাস কর আমি প্রতিদিন হাঁটি
হাঁটতে হাঁটতে মাথায় নিয়ে আসি
কোন গল্প, বা দু একটি লাইন
আমার বাড়িতে বিদ্যুতের আলো
থাকুক চাই না থাকুক –
পড়ার টেবিলে চাঁদের যতটুকু আলো
ঠিকরে পড়ে, তাতেই পূর্ণ করি
আমার ধারণার শব্দের শরীর ।
ফারাক শুধু গতিপথের –
কারো পথ কালো পিঁচের
কারো বা মখমল আর সোনালী জরীর ।
সময়ের যে অভিযোগ, তা না চাইলেও
মেনে নাও না মুখ বুজে !
কর্তৃপক্ষ তো সবই দেখছে,
সময় হলে ডেকে নেবে ।
ঠিক কতটা পথ হেঁটে আজ আমি কবি ?
তোমরা কেউ কী জানতে চেয়েছ কখনও ?
তোমরা কারা ? কী ? কী তোমাদের কাজ ?
শুধু বানান করা যা শিখেছ
তাই একটু ঝালিয়ে নেবে । এইতো ?
বিশ্বাস কর আমি প্রতিদিন হাঁটি
হাঁটতে হাঁটতে মাথায় নিয়ে আসি
কোন গল্প, বা দু একটি লাইন
আমার বাড়িতে বিদ্যুতের আলো
থাকুক চাই না থাকুক –
পড়ার টেবিলে চাঁদের যতটুকু আলো
ঠিকরে পড়ে, তাতেই পূর্ণ করি
আমার ধারণার শব্দের শরীর ।
কখনও দেখতে চাইলে না আমার
লেখার টেবিল বা, ঢাকনাহীন কলমটা
কত ধুলো জমে আছে তাতে
পরিষ্কার করবার মানুষটা পর্যন্ত এলো না
কারণ সবই বিরক্তিকর –
আর মুখে যা বল, বা, আঙুলের চাপে
যা লেখ, সবই কী তোমাদের মনের কথা ?
নাকি নির্বাচিত কিছু তোষামুদে শব্দ ?
যদি তোমাদের মনের কথাই হয়
তবে তো কবিতা তোমাদেরও আছে
শুধু তোমার কলমটি অপেক্ষায় আছে
গিয়ে তাকে ধর, আর সংযুক্ত কর
আত্মার শব্দ সম্ভারে –
কবিতা এলো না ?
এবার হাঁট, দ্রুত হাঁট
তোমার কলম যদি এখনও
তোমার খাতা সাজিয়ে তুলতে না পারে
তবে এটাই তোমার কবিতা
নিঃশব্দের, বর্ণনাতীত, শূণ্যের……
তবু তো একটা কাজ হল
তুমি হাঁটতে শিখে গেলে
হোক না তুমি শেষ প্রতিযোগী
খুড়িয়ে হোক, তুমি কিন্তু হাঁটছ
পথ তোমার একদিন ঠিকই ফুরাবে ।
লেখার টেবিল বা, ঢাকনাহীন কলমটা
কত ধুলো জমে আছে তাতে
পরিষ্কার করবার মানুষটা পর্যন্ত এলো না
কারণ সবই বিরক্তিকর –
আর মুখে যা বল, বা, আঙুলের চাপে
যা লেখ, সবই কী তোমাদের মনের কথা ?
নাকি নির্বাচিত কিছু তোষামুদে শব্দ ?
যদি তোমাদের মনের কথাই হয়
তবে তো কবিতা তোমাদেরও আছে
শুধু তোমার কলমটি অপেক্ষায় আছে
গিয়ে তাকে ধর, আর সংযুক্ত কর
আত্মার শব্দ সম্ভারে –
কবিতা এলো না ?
এবার হাঁট, দ্রুত হাঁট
তোমার কলম যদি এখনও
তোমার খাতা সাজিয়ে তুলতে না পারে
তবে এটাই তোমার কবিতা
নিঃশব্দের, বর্ণনাতীত, শূণ্যের……
তবু তো একটা কাজ হল
তুমি হাঁটতে শিখে গেলে
হোক না তুমি শেষ প্রতিযোগী
খুড়িয়ে হোক, তুমি কিন্তু হাঁটছ
পথ তোমার একদিন ঠিকই ফুরাবে ।
শুকনো কবিতা
জামার
হাতাটা খাটৌ
তাই ভাজ করে রাখি
লজ্জা করে না ।
রক্ত চেটে অভ্যেস হয়ে গেছে
নুন ছিটাতে হয় না ।
হাতে আমার আজও গরম ভাতের গন্ধ
স্মৃতি হয়ে থাকবে ।
জিহ্বাতে নিকোটিনের প্রলেপ
তাই ভাজ করে রাখি
লজ্জা করে না ।
রক্ত চেটে অভ্যেস হয়ে গেছে
নুন ছিটাতে হয় না ।
হাতে আমার আজও গরম ভাতের গন্ধ
স্মৃতি হয়ে থাকবে ।
জিহ্বাতে নিকোটিনের প্রলেপ
অতৃপ্তির ঢেকুর ।
অনেকদিন মাংস খাই না ।
ছেঁড়া পাজামাটার হাত গজিয়েছে
আজকাল টাকা চুরি করে
তাই খালি পায়েই হাটি
ঘাসের আড়াল থেকে কেঁচো তুলে
পকেটে চালান করে দেই ।
শেষ রাতে হাওয়া একটু তেজী হয়
উঁকুন গুলো ঘুমায় না
টহল পুলিশের গাড়ি যায়
তাই শুকনো বাতাস গুলো লুকোবার চেষ্টা ।
এখন দিন রাত সমান
রাজা-প্রজা বেঁচে নেই কেউ
দেশে শুধু আমি
অনেকদিন মাংস খাই না ।
ছেঁড়া পাজামাটার হাত গজিয়েছে
আজকাল টাকা চুরি করে
তাই খালি পায়েই হাটি
ঘাসের আড়াল থেকে কেঁচো তুলে
পকেটে চালান করে দেই ।
শেষ রাতে হাওয়া একটু তেজী হয়
উঁকুন গুলো ঘুমায় না
টহল পুলিশের গাড়ি যায়
তাই শুকনো বাতাস গুলো লুকোবার চেষ্টা ।
এখন দিন রাত সমান
রাজা-প্রজা বেঁচে নেই কেউ
দেশে শুধু আমি
mind blowing
উত্তরমুছুন