পাড়ে যাওয়ার ইচ্ছা
আমি কোন দলে পড়ি জানতে পারিনি, শুধু তোমাকে মগজটা
খুলে দেখতে দিয়েছিলাম, প্রয়োজনে ধোলাইও দিতে পার।
তুমি তার প্রতিটি প্রকোষ্ঠে বেশুমার রোদ্রকণা আর ক’টিতে
দেখতে পেলে নগ্নপদ বৌদ্ধের মহিমা।পুবদুয়ারি কুঠুরিতে
আগিলা জামানার পাকুড়গাছ তার চৌদিকে নিশুতি রাত
জখমি চাঁদের নিচে জ্বলতে থাকা জোনাকির হাট,
পাতার আড়ালে পাখিদের মুচকিহাসি ভেঙ্গে
পাল তোলা ট্রেনের অন্তরের দেশে যাওয়া আসা।
ভাদ্রের তপ্ত গরমে আকাশে কালো কফির ঢল
গুদারার ছলাৎছল মরাকটালের হন্তারক কলস্বন,
কোনো চিহ্ন থাকেনা প্রান্তরের বালিয়াড়ির, না নদী না
নয়ানজুলি শুধু পাড় ছুঁয়ে থাকি পাড়ে যাওয়ার ইচ্ছায়…
পথ ছিঁড়ে গেছে পদাঘাতে
পথের রেখায় জ্যামিতিক বক্রতা
হুইসেলে ভর করে রেলের দ্রুতি
গন্তব্য দুরে সরে যায়।
[২]
করপুটে পিঁপড়ার ডিম
শিউলির স্তুপে
ঢাকা পড়ে গেছে
স্নানরতা কুমারীর স্তন
ঝর্ণার দেহ ভেঙ্গে নদী নামে
পাহাড়ের নিতম্বে বিভঙ্গ নদী।
বারুদের গন্ধ নাই
মানুষের ত্বকের ভিতরে
বারুদের প্রলিপ্ত পেলবতা
কলঙ্কের কল্কী ভেঙ্গে
ছনার ধোঁয়া ওঠে
পত্রমোচি বৃক্ষের আড়ালে।
পাঁচজন ফিরিস্তার হানাদারি
পাঁচইঞ্চি দেওয়ালে হরেক ড্রিলিং
কিভাবে ভাল থাক পিচুটি জড়ানো চোখে?
কচুপাতার পানির প্রগলভ চঞ্চলতা
বালিকার আডষ্ট বুকে-
সাপ-লুড়ু ভেবে ছক্কার চাল দিতে পারো
ভুল সুরে ফুঁ দিতে পারো অনিবার্য মোহে।
এই নগরে কতগুলি চিহ্ন আছে যার কোনো মানে নাই।
ঠিক তেম্নি কতগুলি মানুষ আছে যারা চিহ্নের
ইঙ্গিত বোঝে না।আমি কোন দলে পড়ি জানতে পারিনি, শুধু তোমাকে মগজটা
খুলে দেখতে দিয়েছিলাম, প্রয়োজনে ধোলাইও দিতে পার।
তুমি তার প্রতিটি প্রকোষ্ঠে বেশুমার রোদ্রকণা আর ক’টিতে
দেখতে পেলে নগ্নপদ বৌদ্ধের মহিমা।পুবদুয়ারি কুঠুরিতে
আগিলা জামানার পাকুড়গাছ তার চৌদিকে নিশুতি রাত
জখমি চাঁদের নিচে জ্বলতে থাকা জোনাকির হাট,
পাতার আড়ালে পাখিদের মুচকিহাসি ভেঙ্গে
পাল তোলা ট্রেনের অন্তরের দেশে যাওয়া আসা।
ভাদ্রের তপ্ত গরমে আকাশে কালো কফির ঢল
গুদারার ছলাৎছল মরাকটালের হন্তারক কলস্বন,
কোনো চিহ্ন থাকেনা প্রান্তরের বালিয়াড়ির, না নদী না
নয়ানজুলি শুধু পাড় ছুঁয়ে থাকি পাড়ে যাওয়ার ইচ্ছায়…
পদ্য প্রলাপ
[১]
বিস্ময় কাটে নাপথ ছিঁড়ে গেছে পদাঘাতে
পথের রেখায় জ্যামিতিক বক্রতা
হুইসেলে ভর করে রেলের দ্রুতি
গন্তব্য দুরে সরে যায়।
[২]
করপুটে পিঁপড়ার ডিম
শিউলির স্তুপে
ঢাকা পড়ে গেছে
স্নানরতা কুমারীর স্তন
ঝর্ণার দেহ ভেঙ্গে নদী নামে
পাহাড়ের নিতম্বে বিভঙ্গ নদী।
[৩]
বৃক্ষের কাছে ঝুঁকে দেখিবারুদের গন্ধ নাই
মানুষের ত্বকের ভিতরে
বারুদের প্রলিপ্ত পেলবতা
কলঙ্কের কল্কী ভেঙ্গে
ছনার ধোঁয়া ওঠে
পত্রমোচি বৃক্ষের আড়ালে।
[৪]
ঘাসে কোনো চিহ্ন নেইপাঁচজন ফিরিস্তার হানাদারি
পাঁচইঞ্চি দেওয়ালে হরেক ড্রিলিং
কিভাবে ভাল থাক পিচুটি জড়ানো চোখে?
[৫]
ছোবলের রসায়ন এখনো অনায়ত্তকচুপাতার পানির প্রগলভ চঞ্চলতা
বালিকার আডষ্ট বুকে-
সাপ-লুড়ু ভেবে ছক্কার চাল দিতে পারো
ভুল সুরে ফুঁ দিতে পারো অনিবার্য মোহে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন