১৫ ডিসেম্বর ২০১২

মৌ দাশগুপ্তা


দিঘী ও একটি কাহিনী
চোখ বুঁজলেই সেই বিগত জীবনের চুপকথা,
বনজ সুঘ্রাণে ভরা ঝোপঝাড়,পায়ে চলা পথ,
পাখীর কলতানে বিভোর ছায়ামাখা বাঁশবন,
একাকী সেই শান্ত নীল দিঘী,
শ্যাওলা জমা ভাঙা পাথরের ধাপ,
পায়ের পাতা ডোবা ছলাৎছল ঠান্ডা জল,
দিঘীর শান্ত ঢেউজলে দোলে ঝরাপাতা,
রূপোলী আঁশে আলো ঝিকিয়ে ঘাই মারে মাছের দল,
জলে আঙ্গুল ডোবালেই নরম স্পর্শসুখ,
সেই জলে বৃত্তের পর বৃত্ত তুলে আনমনে ভাসে
লাজুক কিশোরীর হাতের কাগজের নৌকো।
সাক্ষী থাকে এক কিশোর,হাতে সুরেলা আড়বাঁশী।

চোখ মেললেই নকশীকাঁথার রহস্য উধাও,
পাতায় কাঁপা শেষ বিকালের পরশকাতর রোদ,
আকাশতলায় ধোঁয়া হয়ে মিশে যায় স্মৃতির ধূলোয়,
সেই ঝোপঝাড়,বাঁশবন,চোখের তারায় সময় হারায়,
নীড়গমী পাখীর ডাক আজ বুঝি তাদের ঘুম ভাঙ্গায়না,
প্রাচীন স্থবির দিঘী কচুরীপানার আলপনায় শুয়ে বিশ্রাম নেয়,
জলজ আগাছায়, ঝরা পাতার স্তূপে, ভরে ওঠে তার বুক,
আর সেই সাথে হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার ঠিকানা নিয়ে,
মেকি আলোছায়ার জগতে হারিয়ে যাওয়া কিশোরের খোঁজে-
একা জীবনের পাকদন্ডী বেয়ে - ভ্রূক্ষেপহীন পদক্ষেপে হেঁটে যায়,
সেদিনের সেই কিশোরী, আজকের রূপকথা মেয়ে।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন