আহম্মেদ রফিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আহম্মেদ রফিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

১৫ ডিসেম্বর ২০১২

আহম্মেদ রফিক

প্রিয় ফুল

প্রিয় ফুল, একযুগ পার হয়ে গেছে !
হটাত সেদিন তোমায় দেখলাম সেই শ্যাওলা জমানো ঘাটে;
মাঝপথ ইতিহাস কবিতার,
তুমিও লিখেছ কত আপনমনে ।

ভীষণ দুষ্টুমি ছিল তোমার প্রাণে ।
অথচ দোষ দিলে -আমি এলোমেলো করে ফেলতাম সাজানো ঘর ।
সংলাপের ধারাবাহিকতায় প্রশ্ন এলো -মনে রেখেছ এতোকিছু ?
নীরব হলাম তুমি যখন বললে
-আমাকে না কি ভোলা যায় না ।

দেখলাম অনেকক্ষণ তুমি দাঁড়িয়েছিলে গলির মোড়ে ;
আমিও পৌঁছে গিয়েছি সেই সব দিনে-
তুমি লিখতে অঞ্জলি ভরা ফুল ......কত প্রিয় ছিল ....
কত স্বপ্ন ছিল তোমার !

আজ তুমি আর আগের মত পারো’না লিখতে,
আমিও হারিয়ে ফেলেছি সেই আমাকে ।

৩১ অক্টোবর ২০১২

আহম্মেদ রফিক

 হতাশা সংক্রান্ত রিদম

 হতাশ বুকেও কোন সত্যি খুব করে আলপনা আঁকে !
 যেমন করে খুঁজতে থাকো উদার আকাশ, মেঘ

 
 তোমার দৃষ্টিবাণ ছিঁড়ে ফেলে খোলস, ভেতরে জ্বলজ্বলে অনল ;
 প্রতিনিয়ত পুড়াতে থাকে বোধের পরবর্তী সংখ্যা
 বলতে পারো এর প্রভাব কোথায় গিয়ে থামে ?
 অথবা এতদিন কি করে আড়াল ছিল ক্ষুদ্র !

 এতো বড় আয়োজনেও কোন নিশান নেই বিজয়ের !
 খুব কাছে কেউ নেই খুঁজে পাওয়া যাবে,
 ফেরত দেবার মত যা ছিল কবেই ন্যাপথাইলিনের মত
 উড়ে গেছে বুকটাকে শূন্য করে !
 এতো চাপাচাপি, সত্যকে টেনে নিয়ে .....
 কেউ কেউ শিল্পীর প্রচ্ছদে বিমূর্ত মেঘ বুকের আকাশ

 প্রতিদিন সামন্তেরা আসে, কুড়িয়ে নেয় হিস্যা
 বোধের দরদামে খুব বেশি না হলেও পার্থক্য যেটুকু,
 গিলে খায় সম্ভাবনা অপার... খোলসের দায় !
 কিছুতেই রক্ষ্যা করা যায় না নিজেকে
 উড়ে যায় ন্যাপথালিনের মত বুকটাকে উজার করে ;
 কোন সুখের ছবিই আর ফিরিয়ে আনতে পারে না,
 বিরত করতে পারেনা সেই অভিমানের প্রকাশটাকে

৩১ আগস্ট ২০১২

আহম্মেদ রফিক

হিস্যা

অবস্থান কোন ভূগোলে?
নাম দেখে সন্দেহে পড়ে যাই দ্বিমাত্রিক নাকি ত্রিমাত্রিক ?

যদিও নাম কোন বিষয় নয়,
অনুভূতি, সম্পর্ক এবং ধার টাই বিবেচ্য, আর মাপকাঠি আচরণ
মাত্রিকতা দেখে অজ্ঞতায় ডুবি, পুড়তে থাকি; তিক্ত হই আরও বেশী।

অনেক আনকোরা অভিমত বেড়া ভাঙে বিস্ময়কর!
জীবন নিয়ে তামাশা দেখতে চায়, ক্রস ব্রিডিং চায়; স্পষ্টতঃ
চিলেকোঠায় মডেল কন্যার লাশ - ভালোবাসে আইনের ছাত্র কে,
তন্বী ভালোবাসে অমল সাহা কে; আর ছাত্র সংগঠনের ছেলেটা
লিভ-টুগেদার করত ইডেনের মেয়েটার সাথে;
এসব কোন ঘটনা, দুর্ঘটনা কিছুই নয় কারো চোখে,
রেজোয়ানের নামটাও একদিন ভুলে যাবে কোলকাতা বাসী ।

কারো বুকে ছুরি মারার চেয়ে অমানবিক, অধর্ম নাই, অথচ-
সন্তানগুলো যখন তখন চালিয়ে দেয়;
সমাজ, সংস্কার ডিঙানো মানুষ আলাদা, তাদের বসবাস
সেও এক চিড়িয়াখানায়, নির্দিষ্ট পরিমণ্ডলের গারদে ।
বিস্তৃত মানব সমাজে অপাংক্তেয়, চিহ্নিত -বাঁকা চোখে দেখে,
সব মানুষই ভিন্ন গ্রহের জানে ।

গায়ে জোর থাকলেই বেয়ারা হয় ষাঁড়, থোড়াই কেয়ার .....
সার্টিফিকেট, পোস্ট, পজিশনের মানুষের অনৈতিক কাজ
এখন বিস্ময় জাগায় না মোটেই!
সেই যে ছাত্র ছিল স্কুলে অনুপস্থিত, বঞ্চিত ছাত্রত্ব বোধ হতে-
তার - শিক্ষা আর উপলব্ধির প্রশ্ন অমীমাংসিত না থাকে ।

প্রবাদটা মনে পড়ে- যেমন কর্ম তেমন ফল;
হিস্যা টা মিলে যায় অবশেষে ।