অব্যক্ত
অনুভূতি
প্রতিটি মানুষেরই হয়্ত নিজস্ব একটা জগত থাকে। আমার বেলাতেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আমারও একটা নিজস্ব জগত আছে। কিংবা ছিল ! আমার জগতটি গড়ে উঠেছিল তাকে কেন্দ্র করে। তার প্রতিটি আচরণই অতিমাত্রায় ভাল লাগতো আমার । যা সবার কাছে হয়্ত ছিল ন্যাকামো কিংবা পাগলামীর চূড়ান্ত । কিন্তু আমার কাছে সেগুলো ছিল সবচেয়ে প্রিয় । গলির ভেতর থেকে খুজে পাওয়া বৃষ্টিতে ভেজা জরাজীর্ণ বিড়াল ছানাটিকে নিয়ে যখন হুল্স্থুল কান্ড বাঁধিয়ে দিত সে , তখন তা সবার কাছে বিরক্তিকর হলেও আমার কাছে তা ছিল খুবই আনন্দের একটা ব্যাপার । খালি পায়ে হিমু বেশে রাতের রাস্তায় যখন সে হেঁটে বেড়াত , তখন তার সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছেটাকে খুব কষ্টে দমন করতাম । রাস্তার ছোট ছেলেমেয়েগুলো যারা তার কাছে ছিল " স্পেশাল কিডস " তাদের মাঝে বিক্ষিপ্ত আনন্দ বিতরণ করে যে আনন্দটা সে পেত তার ভাগ নিতে বড্ড ইচ্ছে করতো । জন্মদিনগুলোই সবার আগে এসে যখন ঘুম ভাঙিয়ে চিৎকার করে বলতো -'শুভ জন্মদিন্' তখন যেন সবচেয়ে বড় উপহারটা পাওয়া হয়ে যেজ। তার লিখা কবিতাগুলোর একমাত্র পাঠক বোধ্হয় আমি-ই ছিলাম । যা আমার কাছে ছিল গুপ্তধনের মত । একদিন জানতে পারলাম এই হাস্যজ্বল প্রানবন্ত মানুষটি কর্কটক্রান্তিদের এক্জন। সেদিন আমার পৃথিবীর একটা অংশ যেন অবশ হয়ে গিয়েছিল।
প্রতিটি মানুষেরই হয়্ত নিজস্ব একটা জগত থাকে। আমার বেলাতেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আমারও একটা নিজস্ব জগত আছে। কিংবা ছিল ! আমার জগতটি গড়ে উঠেছিল তাকে কেন্দ্র করে। তার প্রতিটি আচরণই অতিমাত্রায় ভাল লাগতো আমার । যা সবার কাছে হয়্ত ছিল ন্যাকামো কিংবা পাগলামীর চূড়ান্ত । কিন্তু আমার কাছে সেগুলো ছিল সবচেয়ে প্রিয় । গলির ভেতর থেকে খুজে পাওয়া বৃষ্টিতে ভেজা জরাজীর্ণ বিড়াল ছানাটিকে নিয়ে যখন হুল্স্থুল কান্ড বাঁধিয়ে দিত সে , তখন তা সবার কাছে বিরক্তিকর হলেও আমার কাছে তা ছিল খুবই আনন্দের একটা ব্যাপার । খালি পায়ে হিমু বেশে রাতের রাস্তায় যখন সে হেঁটে বেড়াত , তখন তার সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছেটাকে খুব কষ্টে দমন করতাম । রাস্তার ছোট ছেলেমেয়েগুলো যারা তার কাছে ছিল " স্পেশাল কিডস " তাদের মাঝে বিক্ষিপ্ত আনন্দ বিতরণ করে যে আনন্দটা সে পেত তার ভাগ নিতে বড্ড ইচ্ছে করতো । জন্মদিনগুলোই সবার আগে এসে যখন ঘুম ভাঙিয়ে চিৎকার করে বলতো -'শুভ জন্মদিন্' তখন যেন সবচেয়ে বড় উপহারটা পাওয়া হয়ে যেজ। তার লিখা কবিতাগুলোর একমাত্র পাঠক বোধ্হয় আমি-ই ছিলাম । যা আমার কাছে ছিল গুপ্তধনের মত । একদিন জানতে পারলাম এই হাস্যজ্বল প্রানবন্ত মানুষটি কর্কটক্রান্তিদের এক্জন। সেদিন আমার পৃথিবীর একটা অংশ যেন অবশ হয়ে গিয়েছিল।
আজ
সে নেই।
এই ক'দিন হল
কর্কটক্রান্তি রেখার মাঝে হারিয়ে গিয়েছে
সে । তবুও ভুলতে পারিনা
তাকে।।।
প্রতিটি মুহুর্তে তার অদৃশ্য উপস্থিতি অনুভব করি। মনে হয় এই হয়্ত কোন বেড়াল ছানা নিয়ে হাজির হবে। কিংবা হাতটা ধরে বলবে , 'চল বৃষ্টিতে ভিজি । ঠাণ্ডা লাগলে সব দোষ তোর ।। প্রতি রাতেই জানালার ধারে বসে অপেক্ষা
করি এই হয়্ত চুপিসারে আসবে আমার কাছে সে । তারপর তার ভুবন ভুলানো হাসিতে হেসে বলবে ,''একেবারেই ভুলে
গিয়েছিস তোর দা-ভাইকে?'"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন